লক্ষ্মীপুরে নাতনিকে বাঁচাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের পিটুনিতে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক ও বাকি জড়িতদের আটক করতে মাঠে রয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মমিনুল হক। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মধ্যচররমনী মোহন বেদেপল্লির আক্কাছ সর্দারের মেয়ে নুপুরকে গোপনে বিয়ে করেন একই এলাকার গোলাপ সর্দারের ছেলে তারিফ। গোপন বিয়ে জানাজানি হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন বরের পিতা। কারণ দু’বছর পূর্বে এই নুপুরকে নৌকায় ধর্ষণের চেষ্টা করেন তারিফ।
পরে বিষয়টি মামলায় গড়ালে ৩ বছরের সাজা হয় তারিফের। সেই থেকে দুই পরিবারের মধ্যে চলে আসছে শত্রুতা। সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে মামলা থেকে রেহাই পেতে গোপনে নুপুরের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে তারিফ। অবশেষে দুই পরিবারের অমতেই দুজন কোর্টে গিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন বরের পিতা গোলাপ সর্দার।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১টার দিকে তিনি ও তার পরিবারের ৭/৮ জনের একটি দল কনের বসতঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে কনেসহ ঘরের সবাই পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে সবাইকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন কনের দাদা বৃদ্ধ নাজিম সর্দার। তখন সকলে মিলে তাকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে ঘরের জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায় গোলাপ সর্দার ও তার দলবল।
পরে বাড়ির লোকজন বৃদ্ধকে গুরুতর আহত অবস্থায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করে পুলিশ।
দুজনকে আটকের কথা স্বীকার করেছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মমিনুল হক।
