নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের পাশাপাশি গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ‘একমাত্র কারণ’ হিসেবে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতাদের দুর্নীতিকে দায়ী করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির একমাত্র কারণ হল আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও আমলাদের দুর্নীতি। তারা দুর্নীতি করে ফুলেফেঁপে ঢোল হচ্ছে।
তিনি বলেন, আজকে সয়াবিন তেলের যারা ব্যবসা করে তাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা। যারা বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করছে তাদের একজন সরকারের উপদেষ্টা। স্বাস্থ্যখাতে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়। কিন্তু বিচার হয় না। আজকে চাঁদপুরের ডিসি বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নামে শিক্ষামন্ত্রীর পরিবারের লোক ৩৬৫ কোটি টাকা লোপাট করেছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে গেছে যে মানুষ আর বাঁচার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না। বেঁচে থাকার জন্য যে ন্যূনতম খাবার প্রয়োজন সেটাও কিনতে পারছে না। তার নিরাপত্তাও নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতবার ক্ষমতায় এসেছে তারা মানুষের স্বপ্নকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে।
দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেই বাকশাল শাসন ব্যবস্থাই চালু করেছে আওয়ামী লীগ। গণতন্ত্রের মোড়কে সেই একদলীয় শাসনব্যবস্থাই চালু করেছে।
সমাবেশে বিএনপি ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, করোনার পরে দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে ২ শতাংশ। দেশে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা ৬ কোটি। কিন্তু সরকার এসব বলে না। তারা দেখায় উন্নয়ন, মেগা প্রকল্প।
