ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সালথা উপজেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব পদত্যাগ করেছেন। তার ভাই অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান লিটন তার সাথে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক পদ ও জেলা আইনজীবী ফোরামের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
শুক্রবার সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। সংবাদ সম্মেলনের আগে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আসেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
সংবাদ সম্মেলনে হাবিবুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি ১৯৭৭ সালে স্কুলছাত্র অবস্থায় ছাত্রলীগের হাশামদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দেন। পরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হন এবং রুকসুর ভিপি প্রার্থী ছিলেন ছাত্রলীগের প্যানেলে। তার পরিবার মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে ব্যাপক অবদান রেখেছে। তবে বিশেষ একটা প্রেক্ষাপটে ২০০০ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন।
সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করছেন জানিয়ে অ্যাডভোকেট হাবিব বলেন, কারো প্রতি কোনো রকম ক্ষোভ বা বিদ্বেষ থেকে এ পদত্যাগ নয়। তবে বিএনপিতে সঠিক ইতিহাসের ব্যবহার কম।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি বরং বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মেজর জিয়া স্বাধীনতা পাঠ করেছেন এটিই বাস্তবতা। যদিও সেসময় একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর একজন মেজরের পক্ষে এটি পাঠ করাও বিশাল ব্যাপার ছিলো। কেননা, বঙ্গবন্ধুর ফাঁসি হলে তাদেরও একই পরিণতি হতো।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার পরিবারের প্রায় পাঁচ শ’ সদস্যদের মধ্যে আমরা দুই ভাই-ই বিএনপির সাথে জড়িয়েছিলাম। এখন আর কেউ বিএনপিতে রইলো না। তিনি রাজনীতি থেকে দূরে সরে আইনজীবী হিসেবেই ব্যস্ত থাকবেন বলে জানান।
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এ সময় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম পিকুলসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সালথা থেকে আগত তার রাজনৈতিক অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন।
