নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের জকিগঞ্জে আরও একটি কূপে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এটি বাংলাদেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল সকাল সোয়া ১০টায় ডিএসটি (ড্রিল স্টিম টেস্ট) গ্যাসের শিখা জ্বালাতে সক্ষম হয় রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানিটি।
কূপটির অভ্যন্তরে চাপ রয়েছে ছয় হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গইঞ্চি) আর ফ্লোটিং চাপ রয়েছে ১৩ হাজারের অধিক।
প্রথমত, একটি স্তরের টেস্ট চলমান। কূপটিতে মোট চারটি স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে বলে জানিয়েছে বাপেক্স।
নতুন এ ফিল্ডটি থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে বিয়ানীবাজার এবং ৪৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোলাপগঞ্জ।
বাপেক্সের টেকনিক্যাল সার্ভিসের মহাব্যবস্থাপক একেএম মঞ্জুর কবীর বলেন, জকিগঞ্জে যে স্থানটিতে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, সেটিকে এখনই কূপ বলা যাবে না। আমরা ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করব।
এরপর বোঝা যাবে, সেখানে কী পরিমাণ গ্যাস পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরও ছয় টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুত। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসেবে প্রমাণিত মজুত অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র তিন টিসিএফ, আর সম্ভাব্য মজুত রয়েছে আরও সাত টিএসএফের মতো।
১১৩টি কূপ দিয়ে প্রতি বছরে উত্তোলিত হচ্ছে প্রায় এক টিসিএফের মতো। এর মধ্যে দেশীয় কোম্পানির ৭০টি কূপের (দৈনিক) এক হাজার ১৪৫ এমএমসিএফডি, আইওসির ৪৫টি কূপের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে এক হাজার ৬১৫ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট)। দৈনিক কমবেশি দুই হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
