নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি ছুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তার প্রতি সরকারের ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ছুটির নামে তথাকথিত লকডাউন তুলে নেওয়ার পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার কি প্রমাণ করতে চায়, করোনার থেকে তারা শক্তিশালী? এ ছুটি প্রত্যাহারের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে আক্রান্তের দিকে ঠেলে দেওয়া হলো। এটা সরকারের সবচেয়ে বড় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।’
রিজভী আরো বলেন, ‘মানুষকে বিপদে ফেলে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা বার্তার প্রতিও সরকারের বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, এ ছুটি প্রত্যাহারের জন্য করোনাভাইরাসে প্রাণহানির সব দায় সরকারকেই নিতে হবে।’
রুহুল কবির বলেন, ‘এখনই উপযুক্ত সময়ই ছিল কিছুদিনের জন্য হার্ড লকডাউন কার্য্কর করে ব্যাপক (হারে) জনগণকে টেস্টের আওতায় এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। কিন্তু সরকার সে পথে না গিয়ে, হাঁটছে মৃত্যুর মিছিল বাড়ানোর পথে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অধিক সংখ্যক টেস্ট এবং কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে আক্রান্ত ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে আনার পর লকডাউন শিথিল করেছে আর বাংলাদেশে করোনার সংক্রামণ এবং মৃত্যুর ভীতিকর মাত্রায় প্রতিটি মানুষ যখন আতংকিত-উৎকণ্ঠিত তখন ছুটির নামে তথাকথিত লকডাউন প্রত্যাহার করা হলো।’
বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দমনপীড়নের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘গত এক দশকে প্রতিটি ঘটনায় বিরোধী দল ও মতের মানুষের বিরুদ্ধে র্যাব-পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে ক্ষমতাসীনরা পরিস্থিতির ওপর জবরদস্তিমূলক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। এবারো মনে হয় তারা (র্যাব-পুলিশ) একই কায়দায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনা করে যাচ্ছে।’
