শ্রীপুরে পোশাক কর্মীকে ধর্ষণের পর ক্লাবে নিয়ে মারধর, বাড়ি থেকে বিতাড়িত

গাজীপুরের শ্রীপুরে কিশোরী এক পোশাক কর্মীকে (১৭) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর মধ্যরাতে ওই কিশোরীকে স্থানীয় একটি ক্লাবে নিয়ে মারধর ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় ধর্ষক ও তার লোকজন। এ ঘটনায় রবিবার ধর্ষণের শিকার ওই পোশাক কর্মীর ভগ্নিপতি শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

শ্রীপুর থানার এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার আনসার রোড এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে ভিকটিম স্থানীয় এস কে সোয়েটার কারখানায় সহকারী অপারেটর হিসেব কাজ করে। স্থানীয় বখাটে কাজী শামীম প্রায়শঃ ওই পোশাক কর্মীকে কারখানায় আসা-যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় শামীম ক্ষুব্ধ হয়। এর জের ধরে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় কারখানা ছুটির পর বাসায় ফেরার পথে চন্নাপাড়া এলাকার নাজিম উদ্দিনের বাড়ির সামনে ওই পোশাক কর্মীর পথরোধ করে কাজী শামীম ও তার চার সহযোগী। তারা কিশোরীটির মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক কাজী শামীমের বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে সহযোগীদের ঘরের বাইরে পাহারায় রেখে শামীম ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় ধর্ষণের শিকার ওই পোশাক কর্মীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে আপোস মিমাংসার কথা বলে মধ্যরাতে স্থানীয় একটি ক্লাবে ডেকে নিয়ে ভিকটিমকে বেধড়ক মারধর ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে এবং ভাড়া বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয় ধর্ষক ও তার লোকজন। এ ঘটনায় রবিবার ভিকটিমের ভগ্নিপতি বাদি হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

মামলায় অভিযুক্তরা হলো- শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া এলাকার হাকিম কাজীর ছেলে কাজী শামীম (২৮), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সজীব (২৮), কদুর মেয়ের জামাই জীবন (৩৪), কাজল মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া (৩৫) এবং শামসুল হকের ছেলে মেজদার হোসেন (৪৫)।

মোস্তাফিজুর রহমান টিটু
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here