আজ বাংলাদেশ সময় ভোররাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার কথা যুক্তরাজ্যের। প্রায় তিন হাজার কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড ব্যয়ে চূড়ান্ত হয়েছে ইইউ প্রত্যাহার চুক্তি। স্বাভাবিকভাবেই বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে দেশটিতে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে ব্রিটিশদের জীবনযাত্রায়। বিবিসি।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্যপদ
নাইজেল ফারাজ এবং অ্যান উইড্ডেকমবের মতো পরিচিত মুখগুলোসহ যুক্তরাজ্য থেকে ৭৩ জন সদস্য ছিলেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে। ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার ফলে তারা তাদের সদস্যপদ হারাবেন।
কারণ যুক্তরাজ্য একই সঙ্গে ইইউর রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও এজেন্সিগুলোও ছেড়ে যাচ্ছে। তবে যেহেতু যুক্তরাজ্য অন্তর্র্বর্তী সময়ে ইইউর আইন কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে। এ জন্য ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস আইনি সমস্যাগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত দেওয়া অব্যাহত রাখবেন।
আর নয় সামিটে
ভবিষ্যতে ইইউ কাউন্সিল সামিটে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অংশ নিতে চাইলে তার জন্য বিশেষ আমন্ত্রণ প্রয়োজন হবে। ব্রিটিশ মন্ত্রীরাও এখন থেকে আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়মিত বৈঠকগুলোয় অংশ নিতে পারবেন না।
বাণিজ্য
যুক্তরাজ্য তাদের পণ্য ও সেবা বিক্রি বা এসব কেনার জন্য নতুন নিয়ম ঠিক করতে বিশ্বের যে কোনো দেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারবে। ইইউর সদস্য থাকার সময়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য আলোচনা করতে পারত না। তাই ব্রেক্সিট সমর্থকরা বলছেন নিজের বাণিজ্য নীতি ঠিক করার স্বাধীনতা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।
পরিবর্তন হবে পাসপোর্টের রং
ত্রিশ বছর পর দেশটিতে আবার ফিরে আসবে নীল রঙের পাসপোর্ট। ২০১৭ সালে এ পরিবর্তনের কথা ঘোষণা দিয়ে তখন অভিবাসনমন্ত্রী ব্রান্ডন লুইস দেশটির ঐতিহ্যবাহী নীল ও সোনালি ডিজাইনের পাসপোর্ট আবার ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন। এ পাসপোর্ট প্রথম ব্যবহার শুরু হয়েছিল ১৯২১ সালে। তবে বর্তমান যে পাসপোর্ট আছে সেটিও বৈধ থাকবে।
বন্ধ হবে ব্রেক্সিট ডিপার্টমেন্ট
২০১৬ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের সময়ে এ বিভাগটি চালু করা হয়েছিল। সামনের দিনগুলোয় যুক্তরাজ্যের হয়ে সমঝোতা করবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
প্রত্যর্পণ হবে না
সন্দেহভাজন অপরাধী যদি কেউ যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে গিয়ে জার্মানিতে আশ্রয় নেয় তা হলে তাকে ফেরত পাবে না যুক্তরাজ্য।
