বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে অনুমোদিত ক্যাসিনো জোন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব পর্যটন দিবস’উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব আলী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও কক্সবাজারে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন হবে। অন্যান্য দেশেও পাসপোর্ট দিয়ে ক্যাসিনোতে যেতে হয়। আমাদের দেশেও এক্সক্লুসিভ জোনে ক্যাসিনোর ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশিদের জন্যই এটা হবে। সেখানে পাসপোর্ট দেখিয়ে ঢুকতে হবে। তবে ঢাকায় অবৈধ ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, আমরা তার সঙ্গে একমত।
ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে আমরা উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখতে পারিনি। তবে আমরা সেটি করতে চাই। আমরা মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করে ফেলছি। এ মাসে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দেবে। আমাদের দেশে কতজন বিদেশি পর্যটক আসছে, সেটি আমরা দেখছি। তবে হিসাবমতে, গত এক বছরে দেড় থেকে দুই লাখের বেশি বিদেশি পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।
মো. মাহবুব আলী বলেন, সুন্দরবন বিশ্বে দ্বিতীয়টি নেই। সেখানে আমরা বিদেশিদের জন্য তেমন কিছু করতে পারিনি। তাঁদের জন্য এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন করার উদ্যোগ নিয়েছি। কক্সবাজারেও এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী আরো বলেন, প্রতিবছর ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ভবিষ্যতের উন্নয়নে : কাজের সুযোগ পর্যটনে।দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের মধ্যে ভ্রমণের জাগরণ তৈরি করা। মানুষকে পর্যটনে সম্পৃক্ত করা। বাইরের দেশের মানুষ যাতে বাংলাদেশের ভ্রমণে আগ্রহী হয়, সেদিকে নজর দিয়েছি।
পর্যটনের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে পর্যটনকে আরো বিকশিত করা যায়। সুন্দরবনে আমরা বুয়েটকে দিয়ে সার্ভে করিয়েছি, তাদের রিপোর্ট চূড়ান্ত পর্যায়ে। বিদেশিদের ভ্রমণ যেন আরো উপভোগ্য হয়, আমরা সে ব্যবস্থা নেবে। কক্সবাজারেও বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা মাস্টারপ্ল্যান যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেব। বিদেশি পর্যটকদের কীভাবে আরো আকৃষ্ট করা যায়, সেটি নিয়েও আমরা কাজ করছি।
