নিজের বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ভারতের ধর্মীয় বক্তা জাকির নায়েক। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে তিনি মোটেও বর্ণবাদী নন। বরং তার সমালোচকরা তার বক্তব্যকে ভুলভাবে নিয়েছেন এবং মনগড়া কথা যোগ করেছে তিনি অভিযোগ করেন।
জাকির নায়েক বলেন, যদিও আমি আমার বক্তব্য পরিষ্কার করেছি। কিন্তু তবুও আমার কথায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে এর জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি। এখানে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি কারও অনুভূতিতে আঘাত করতে চাই না। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ধর্মীয় এই বক্তা বলেন, কোনও ব্যক্তি বা সম্প্রদায়কে আঘাত করাটা কখনই আমার উদ্দেশ্য ছিল না। এটা ইসলামের মূল শিক্ষার পরিপন্থি। এই ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাচ্ছি বলেও জানান তিনি। জাকির নায়েক দাবি করেন, সারাবিশ্বে শান্তি ছড়িয়ে দেয়াই তার মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু তার সমালোচকরা তার এই কাজে সব সময়ই বাধা দিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিনের ঘটনা লক্ষ্য করলে দেখবেন মালয়েশিয়ায় আমার বিরুদ্ধে জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। আমার সমালোচকরা নির্দিষ্ট কিছু শব্দ ব্যবহার করে আমার ওপর আক্রমণ করছেন। তারা আমার বক্তব্যকে রঙ মাখিয়ে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছেন। বর্তমানে মালয়েশিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা জাকির নায়েক বলেন, এসব ভুল বক্তব্যের কারণে অমুসলিমরা তাকে বর্ণবাদী মনে করবেন। যারা তার কথায় আঘাত পেয়েছেন তারা তার মূল বক্তব্য শোনেননি বলেও মন্তব্য করেন জাকির নায়েক।
তিনি বলেন, এটা আমার কাছে উদ্বেগের; কারণ এর ফলে ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে মানুষ ইসলাম থেকে দূরে সরে যাবে। তিনি আরও বলেন, জাতিবিদ্বেষ শয়তানের কাজ। আমি এর ঘোর বিরোধী। কুরআনেও এর বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। ইসলামিক বক্তা হিসেবে আমি সব সময়ই এ ধরনের কাজের বিরোধী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় এক অনুষ্ঠানে চীনা ও ভারতীয় নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার কথা এবং মালয়েশিয়ার হিন্দু ও ভারতের মুসলিমদের অধিকার নিয়ে তুলনা করে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন জাকির নায়েক। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এ ঘটনায় জাকিরের সমালোচনা করে বলেন, তিনি মালয়েশিয়া বর্ণবিদ্বেষ ছড়াতে চাইছেন।
