পুলিশ হেফাজতে গ্রেফতার নারী-শিশুসহ আসামিরাবগুড়ার ধুনটে দুর্বৃত্তরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা মামলার আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে। তাদের হামলায় সিআইডি ও থানা পুলিশের চার কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। বুধবার (৫ জুন) গভীর রাতে উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের ভালুকাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ নারী-শিশুসহ ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়।পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালের ২ মার্চ ধুনট থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নম্বর ৩) হয়।ওই মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে ঢাকা থেকে সিআইডি পুলিশের সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াডের এসআই সেলিম রেজা ফোর্স নিয়ে বুধবার ধুনটে আসেন। ধুনট থানা পুলিশের সহযোগিতায় সিআইডি’র টিম ওই দিন রাত তিনটার দিকে প্রথমে মামলার তালিকাভুক্ত আসামি ঝিনাই গ্রামের মৃত মোখলেসুর রহমানের ছেলে শাহীনকে গ্রেফতার করে। এরপর তাকে নিয়ে আরেক আসামি পাশের ভালুকাতলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে লিটনকে গ্রেফতার করতে যায়।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,লিটনকে গ্রেফতার করার সময় তার স্ত্রী শোভা বেগম ও ছেলে সবুজ মিয়া ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দেন এবং পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন। এসময়
লিটনের শ্বশুর নজরুল ইসলাম ও ভাই হারেজ মিয়াসহ ৫০/৬০ জন এসে অতর্কিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে তারা হত্যা মামলার আসামি লিটনকে ছিনিয়ে নেন। তাদের হামলায় সিআইডি পুলিশের এসআই সেলিম রেজা, এএসআই শাহীন বাবুল, এএসআই রেজওয়ানুল হক ও ধুনট থানার এএসআই শাহজাহান আলী আহত হন। পরে সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছছে অবরুদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে। আহত পুলিশ কর্মকর্তারা ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।এ ঘটনায় সিআইডি পুলিশের এসআই সেলিম রেজা বাদী হয়ে মামলার এজাহারে ১২ জন এবং আজ্ঞাত ৫০/৬০ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন। ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
