যৌতুক দাবি করে স্ত্রীকে মারপিটের অভিযোগে গ্রেফতার আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকালে জেলার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আহম্মেদ শাহরিয়ার তারিক হিরো আলমের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। এর আগে হিরো আলমের শ্বশুর সাইফুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর থানা পুলিশ বুধবার রাতে তাকে আটক করে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার এসআই আবদুর রহিম জানান, শ্বশুর সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন যৌতুকের কারণে হিরো আলম মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তার মেয়ে সুমিকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। পরে খবর পেয়ে তিনি তার মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। এ ব্যাপারে তিনি বুধবার দুপুরে সদর থানায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।
তিনি আরো জানান, হিরো আলম নিজেও মারপিটের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে বুধবার সকালে শ্বশুর, স্ত্রীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার রাতে ৯টার দিকে দু’পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিল। সমঝোতা না হওয়ায় শ্বশুর সাইফুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হিরো আলমকে আটক করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান, হিরো আলমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সদর থানা আমলী আদালতে) তার জামিনের আবেদন করা হলে বেলা ৩ টার দিকে শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক আহম্মেদ শাহরিয়ার তারিক জামিন নামঞ্জুর করে হিরো আলমকে কারাগারারে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেন।
হিরো আলমের স্ত্রী সাদিয়া বেগম সুমি জানান, হিরো আলম তাকে বেদম মারপিট করে। সে ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এ কারণ তিনি স্ত্রী-সন্তানের খোঁজ রাখেন না এবং সংসারের খরচ দেন না। এ প্রসঙ্গে কথা বললেই তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে।
