নতুন ছয়টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে এক হাজার ৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব বিদ্যুৎ সংযোগ উদ্বোধন করেন তিনি। পাশাপাশি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দীপে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নয়টি গ্রিড উপকেন্দ্র এবং ১২টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ছয়টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে- সিরাজগঞ্জ ২৮২ মেগাওয়াট সিম্পল সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট, ভোলা ২২৫ মেগাওয়াট কম্পাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট, চাঁদপুর ২০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট, আশুগঞ্জ ১৫০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট, খুলনার রুপসা ১০৫ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট এবং চট্টগ্রামের জুলডা ১০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট (তৃতীয় ইউনিট)।
নয়টি গ্রিড উপকেন্দ্র: রামগঞ্জ, বরিশাল (উত্তর), বাড়িয়ার ঘাট, শিকলবহ, জলঢাকা, সুনামগঞ্জ, বিয়ানিবাজার, রাঙ্গামাটি এবং মাতারবারী। শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আসা ১২টি উপজেলা: হরিনাকুন্ডু, ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গি, গোয়ালন্দ, কালুখালী, বামনা, লাখাই, শায়েস্তাগঞ্জ, আজমেরিগঞ্জ, বাহুবল, মেলাদহ এবং ইসলামপুর।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ৩০৬টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২৬৩টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ ইতোমধ্যেই উদ্বোধন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৪৩টি উপজেলা চলতি বছরের জুন নাগাদ উদ্বোধন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নাসিরুল হামিদ বিপু অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড.আহমেদ কায়কাউস অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, ২০,৮৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করায় দেশের ৯২ শতাংশের বেশি জনগণ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে ১শ’ নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সুবাদে বাংলাদেশ এখন বিদ্যুৎ ঘাটতির দেশ থেকে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে।
সাবেক মন্ত্রী এবং সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ এবং ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ ইসলাম আল জ্যাকব এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যগণ এ সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।
