টঙ্গীর ইজতেমার মাঠ দখল করতে নিরীহ, নিরস্ত্র উলামায়ে কেরাম,তাবলীগের সাধারণ সাথী ও মাদ্রাসা ছাত্রদের উপর নগ্ন হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদ্রাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
রোববার (২ ডিসেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, টঙ্গীর মাঠে হতাহতের ঘটনা বড়ই দুঃখ ও বেদনাদায়ক। নিজেদের মধ্যে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা তাবলীগের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। দাওয়াত ও তাবলীগ হলো, ঈমান-আমাল শিক্ষার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। ঈমান-আমালের শিক্ষার সাথে সাথে তাবলীগের অন্যতম উদ্যেশ্যে হলো পরস্পর জোড় মিল ও মুহাব্বাত পয়দা করা। তাই পরস্পর কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে এ কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, যুগ যুগ ধরে তাবলীগের কাজ স্বমহিমায় চলে আসছে। তাবলীগ জামাতে কোন দ্বিধা-বিভক্তি ছিল না। বর্তমানে তাবলীগ জামাতে বিভক্তি ও হতাহতের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ইসলাম বিদ্বেষীদের চক্রান্ত বলে আমি মনে করি। তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হযরতজ্বী মাওলানা ইলিয়াস (রাহ.) হযরতজ্বী মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী (রাহ.) এবং হযরতজ্বী মাওলানা ইন’আমুল হাসান (রাহ.) এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এ কাজ করতে হবে। তাহলে একাজের মূল লক্ষ্য উদ্যেশ্যে পূরণ হবে।একে অন্যের উপর হামলা করা তাবলীগী সাথীদের কাজ হতে পারে না এমনচা দাবী করে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, যারা মাঠ দখল করতে টঙ্গীতে নিরীহ তাবলীগী সাথী ও মাদ্রাসার ছাত্রদের উপর হামলা করেছে, তারা অমার্জনীয় অপরাধ করেছে। অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।এ ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও তাদের শোক সন্তুপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, যারা হতাহত হয়েছেন তাদের সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে এবং ভবিষ্যতে যেন এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার কাউকে হতে না হয়, সেদিকে সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদের জন্য একটি বড় নেয়ামত। তাই আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করতে এবং তাবলীগ জামাতের ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখতে সকলের সার্বিক সহযোগীতা ও দুআ কামনা করেন।