গাজীপুরের কাপাসিয়ায় স্বামী পরিত্যক্তা নিঃসন্তান এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বখাটেরা। বুধবার এঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ প্রতিবেশী দুই যুবককে আটক করেছে। নিহতের নাম সেলিনা বেগম ওরফে ফালানী (৫২)। সে গাজীপুরের কাপাসিয়ার শ্রীপুর গ্রামের আমিরের টেক এলাকার মৃত মোসকত আলীর মেয়ে।
কাপাসিয়া থানার এসআই মনির হোসেন ও নিহতের ভাই আরজুসহ স্থানীয়রা জানান, প্রায় ত্রিশ বছর আগে গাজীপুরের কাপাসিয়ার রায়েদ এলাকার এক কৃষক পরিবারে বিয়ে হয় ফালানীর। কিন্তু সন্তান জন্মদানে অক্ষমতার অপবাদ দিয়ে বিয়ের দু’বছরের মাথায়ই তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। সে গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগী পালন করে জীবন যাপন করতো। গত কয়েকমাস যাবত প্রতিবেশি রাজিব ও বোরহানসহ কয়েক বখাটে যুবক অভিযুক্ত তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে নানাভাবে উত্যাক্ত করে আসছিল। বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের জানানো হলে তারা ওই যুবকদের সতর্ক করে দেন। এতে যুবকরা ফালানীর উপর ক্ষুব্ধ হয়। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে ফালানী নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু পরদিন বুধবার সকাল গড়িয়ে গেলেও ফালানীকে দেখতে না পেয়ে স্বজনরা তাকে খুজতে গিয়ে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পায়। এসময় তারা ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে শাড়ীর ছেড়া আঁচল দিয়ে হাত ও মুখ বাধা বিবস্ত্র অবস্থায় ফালানীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এঘটনায় গড়িত সন্দেহে পুলিশ প্রতিবেশি লোকমান হোসেনের ছেলে রাজিব (২২) এবং একই এলাকার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে ফালু ওরফে বোরহান (৩০) নামে দুই বখাটে যুবককে আটক করে।
কাপাসিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক জানান, স্বামী পরিত্যক্তা ফালানীকে ধর্ষণের পর শ^াসরোধ করে হত্যার আলামত প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
