শুধু আইনি লড়াইয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, ‘যতই কলা-কৌশল করা হোক না কেনো আমাদের নেত্রী (খালেদা) ফিরে আসবেন। এই যে নিম্ন আদালত, নিম্ন আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কেরানি, স্টাফ এরা তো সব সরকারের কর্মচারী। সুতরাং আমরা আইনি লড়াই করব, আবার রাজপথেও থাকতে হবে। শুধু আইনি লড়াই দিয়ে এই যুদ্ধে জয়লাভ করার সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি না।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সভায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে আয়োজিত খালেদার মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় মওদুদ এসব কথা বলেন। বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘মাজদার হোসেন মামলার মাধ্যমে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণে নিশ্চিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট গত ৮ থেকে ১০ বছর যাবত কাজ করে আসছেন। কিন্তু এস কে সিনহা (সাবেক প্রধান বিচারপতি) চলে যাওয়ার পরে নিম্ন আদালতের শৃঙ্খলা বিধির গ্যাজেট হওয়ায় বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের কোনো কার্যকারিতা থাকলো না। কারণ নিম্ন আদালত এখন সরকারের অধীনে চলে গেছে। তাহলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকে কিভাবে?’
বর্তমান সরকারের শাসনামলকে ‘ভয়ংকর’ অভিহিত করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমাদের এক বিরাট সংকটকাল চলছে। শুধু বিএনপির জন্য নয়, জাতীয়তাবাদী শক্তিসমূহের জন্য নয়, সারা জাতির জন্য। অনেক আন্দোলন দেখেছি, অনেক বড় বড় সংকট দেখেছি, মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে সংকটসময় দেখেছি। কিন্তু আমার জীবনে এমন সংকট দেখি নাই।’
দলটির জ্যেষ্ঠ্য এই নেতা বলেন, ‘আমি মনে করি, সেই ৭৫ সালে সাংবিধানিক একদলীয় শাসনের চাইতে বর্তমানে যে একদলীয় শাসন চলছে সেটা আরও অনেক নিম্নমানের, নিচুস্তরের, অমানবিক।’ এসময় তিনি সরকারি খরচ ও সুবিধা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘একদলীয় নির্বাচনী প্রচারনা’ এবং সরকারের ‘লুটপাট-দুর্নীতি’র কঠোর সমালোচনা করেন। সংগঠনের সহসভাপতি আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুর রহমান, শিরিন সুলতানা, জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, কেন্দ্রীয় নেতা শাহ আবু জাফর, মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।
