আজ ২৫ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ খুলনা জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে শহরের শহীদ হাদিস পার্কে সকাল ১১টায় খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, যুবলীগ বিশ্বাস করে আগামী ২০১৮ এর নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক মহা পরীক্ষার। তাই বাংলাদেশের জন্য ২০১৮ এর নির্বাচন অত্যন্ত গুর“ত্বপূর্ণ নির্বাচন। এই নির্বাচন বাংলাদেশের অস্তীত্বের নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির পথে হাটবে না আবার উল্টো পথে যাত্রা করবে।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় সহিষ্ণুতার ধারা অব্যাহত থাকবে। নাকি একটি জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে-সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের সেতু হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, সাতক্ষীরা, যশোর জেলার যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। উন্নয়নের গতি লাভ করবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে পায়রা বন্দর হবে কিনা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পদ্মাসেতু আর পায়রা বন্দর রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নিজস্ব পরিকল্পিত প্রজেক্ট। পায়রা বন্দরের ¯’ান নির্ধারনের জন্য রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নিজেই নদী পথে ঘুরেছেন।
তিনি আরো বলেন, ২০১৮ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ থাকবে কিনা- সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিদ্যুৎ চাই নাকি খাম্বা চাই। সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আমরা সবার জন্য স্বা¯’্য সেবা চাই কিনা। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সিদ্ধান্ত নিতে হবে-সব শিক্ষর্থীর জন্য ১ জানুয়ারি পাঠ্য বই পৌঁছাবে কিনা। বিনামুল্যে পাঠ্য বই চাই কিনা।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্রে দুর্নীতিবাজদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। অন্য একটি দল বিএনপি এই তো সেদিন তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে দুর্নীতিবাজদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আমরা বিশ্বের তৃতীয় সৎ ব্যক্তি রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্ব চাই নাকি র্দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়া, তারেক জিয়ার হাতে দেশকে তুলে দিতে চাই। ২০১৮ নির্বাচনে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশ্বসেরা শেখ হাসিনাকে চাই নাকি সিদ্ধান্তহীন খালেদাকে চাই।
যে কোন ধরণের বিভেদ ও কোন্দল ভুলে এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যন বলেন, ভুলে যেতে হবে আমাদের সব কোন্দল। আমাদের সব বিভেদের রেখা মুছে ফেলতে হবে। আজ বড় প্রয়োজন এক মাত্র শত্রু-আতœকোন্দল দূর করা এবং পক্ষের সব মানুষের হতাশা দুর করা। মনে রাখতে হবে আমার আপনার অনেক দোষ আছে। তাহা অন্যকে সহ্য করতে হবে। শুধু মাত্র কর্মী সমর্থক, সংগঠক, শুভাঙ্কাখীদের মধ্যে মতভেদ দুর করতে পারলেই বাজিমাৎ। সেই কাঙ্খিত পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারলে সব আশা-আকাঙ্খা বিফলে যাবে। সকল উন্নয়ন ¯’বির হয়ে যাবে। শুধু সমর্থন নয়, পরামর্শও চাইতে হবে। কি পেলাম আর কি পেলাম না সেই হিসেবের খাতা বন্ধ রাখতে হবে। পার্টির বিভাজন ভেঙ্গে দিতে হবে। ভেদাভেদ ঘুচিয়ে দিতে হবে।। দুরত্ব কমিয়ে বন্ধুত্ব করতে হবে।
শেখ হাসিনার আগামী ৩ মার্চ জনসভাকে সফল করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩ মার্চ জনসভাকে সফল করার লক্ষ্যে আজকের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি অত্যন্ত গুর“ত্বপূর্ণ। কারণ নেত্রীর সভাটি হ”েছ-নির্বাচনী সভা। আমাদের প্রথম কাজটি হ”েছ শৃঙ্খলা বজায় রাখা। ১১টার মধ্যে মাঠে প্রবেশ করা। সবুজ ক্যাপ, সবুজ গেঞ্জি, গলায় লাল ফিতা, হাতে ১ হাত পরিমান কাঠিতে যুবলীগের পতাকা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে বসে থাকা। নেত্রী মাঠ ত্যাগ না করা পর্যন্ত বসে থাকা। আর আওয়ামী লীগ নেতৃবন্দের সাথে সমন্বয় রক্ষা করা। আমরা সংগঠন করি। সংগঠিত করা আমাদের কাজ। নেতাকর্মীর সমন্বয় করা। সেতুবন্ধন তৈরি করা । দলের এমপি, মন্ত্রী, মেয়র এবং জনতার সাথে সেতুবন্ধন তৈরি করা।
সরদার আনিছুর পপলুর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রখেন, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হার“নুর রশীদ। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য হার“নুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, যুবলীগ প্র্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফার“ক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরণ, মো. আতাউর রহমান, এ্যাড বেলাল হোসাইন, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুর“ল আলম শাহীন, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক আসাদ, এমরান হোসেন খান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাইনুল হাসান খান নিখিল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, ড. সাজ্জাত হায়দার লিটন, সফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, হাসেম রেজা, কেন্দ্রীয় নেতা এন আই আহম্মেদ সৈকত, মনির“ল ইসলাম হাওলাদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি মোরসালিন আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান প্রমুখ।
