১০ মহররম সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন। পবিত্র আশুরার এ দিনে ঘটেছিল এক শোকাবহ ঘটনা। অন্যায় আর অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) এ দিনে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। কারবালা প্রান্তরে সেই হৃদয়বিদারক ঘটনা আজও মানুষকে কাঁদায় এবং বেদনার্ত করে। সত্য ও ন্যায়ের জন্য তার আত্মত্যাগ বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শনিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বাণীতে আরও উল্লেখ করেন, অন্যায়-অবিচার, অন্যায্য ও অবৈধ অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। ইসলাম আমাদের সেই শিক্ষাই দেয়। মহানবী (সা.) অন্যায়কে প্রতিহত করতে নির্দেশ দিয়ে গেছেন। তার উম্মত হিসেবে আমাদের কর্তব্য যে কোনো গণবিরোধী ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর কৃত অনাচার আর অবৈধ ক্ষমতার দাপটে মানুষকে দমিয়ে রাখার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতার প্রতি নিবিড় নিবিষ্ট মোহে আচ্ছন্ন থেকে যারা ন্যায়নীতি ও ন্যায্যতাকে অগ্রাহ্য করে, তাদের বিরুদ্ধেই ইমাম বাহিনী মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে লড়াই চালিয়ে গেছেন। কারবালায় ইমাম বাহিনীর আত্মত্যাগ সর্বকালে দেশে দেশে বর্বর দুঃশাসনের কবল থেকে মুক্ত হতে মজলুম মানুষকে প্রেরণা জোগাবে।খালেদা জিয়া বাণীতে বলেন, আমি শহীদ হযরত ইমাম হোসেন (রা.), তার পরিবারের সদস্যবর্গ এবং কারবালার সব শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।এদিকে পৃথক এক বাণীতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর শাহাদাত বরণের শোকাবহ স্মৃতি বিজড়িত দিন ১০ মহররম বিশ্ব মুসলিমসহ সারা মানবজাতিকে শোক ও বেদনায় স্তব্ধ করে দেয়। অসত্য, জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেহাদ করতে গিয়ে কারবালায় তিনি নিজ পরিবার, ঘনিষ্ঠজন ও অনুচরবৃন্দসহ জালিমের হাতে শহীদ হন।তিনি বাণীতে বলেন, ব্যক্তিগত কোনো অভিলাষ নয়; বরং অবিচার, জবরদস্তি, মিথ্যা অহংকার ও আত্মসম্মানহীন নিপীড়কের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে গিয়ে তার নিজের আত্মত্যাগের ঘটনা সারা দুনিয়ার সব মজলুমকে প্রতিবাদী হতে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে।মির্জা ফখরুলই ইসলাম বাণীতে হযরত ইমাম হোসেন (রা.)-এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার পরিবার ও কারবালার শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
