প্রভাবশালী এক নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে গাজীপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত জমিসহ সরকারী ও খাসের বিপুল পরিমাণ জমি ও খাল এক শিল্প কারখানা করেছে। রবিবার রাজেন্দ্রপুর এলাকার একটি রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী করেছেন গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইজাদুর রহমান মিলন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইজাদুর রহমান মিলন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরের আড়াইশ প্রসাদ ও বিকে বাড়ি মৌজায় তার ক্রয়কৃত সাড়ে ৩১ শতাংশ জমি আছে। এ জমির পাশে সরকারী খাল ও খাস জমি রয়েছে। এছাড়াও ওই জমির দু’পাশে বনের জমি রয়েছে। গত কয়েকদিন আগে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী এক নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে এনএজেড কারখানা কর্তৃপক্ষ অধ্যক্ষ ইজাদুর রহমান মিলনের জমিসহ সরকারি খালের ১৬ শতাংশ ও ৬ শতাংশ খাস জমি জোরপূর্বক দখল করে সীমানা দেয়াল তৈরী করেছে। এছাড়াও এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারী ওই খালে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে কারখানা কর্তৃপক্ষ ওই জমির উপর দিয়ে অবৈধভাবে গ্যাস পাইপ লাইন নিয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র অসন্তেুাষ দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান জয়দেবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী ও অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি থানা পুলিশ ও আদালতের স্মরণাপন্ন হলে আদালত ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
তিনি অভিযোগ করে জানান, জমির সীমানা নির্ধারনের জন্যে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বন বিভাগ ও জমির প্রকৃত মালিককে অবহিত না করে তার জমিসহ সরকারী খাল ও খাস জমি জোরপূর্বক দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মান শুরু করে এবং সরকারি ও তার মালিকানাধিন জমির উপর দিয়ে গ্যাস পাইপ লাইন বসায়। তিনি বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে মিধ্যা চাঁদাবাজিসহ মামলা দিয়ে হয়রানীর হুমকি দেয়। ঈদের দুইদিন আগে রাতে কারখানা কর্তৃপক্ষ নির্মানাধীন দেওয়াল ভেঙ্গে উল্টো তার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। এসব ঘটনায় তিনি জয়দেবপুর থানায় একাধিক সাধারণ ডায়রি করেছেন।
এ ব্যাপারে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মেঃ মাহমুদ হাসান জানান, নিয়ম বিধি ও আইন মেনে সরকারি জমির সঙ্গে অপর পক্ষের জমির সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এর বাইরে যদি কেউ সরকারি জমি দখল করে কোন কিছু করেন তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এনএজেড কারখানার সিনিয়র ম্যানেজার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সরকারি জমি ও খাল দখল প্রসঙ্গে জানান, কারখানা তাদের নিজস্ব সম্পত্তিতে সীমানা প্রাচীর দিয়েছে। তারা সরকারি কোন খাল বা জমি দখল করেননি।
