ইমিগ্রেশন পুলিশের বাধায় বিদেশ যেতে পারলেন না প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান।বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্র“য়ারি) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেসউইং কর্মকর্তা শায়রুলল কবির খান বেলা সাড়ে ১১টায় এ তথ্য জানান।তিনি জানান, উচ্চ আদালতের অনুমতিপত্র এবং চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছিলেন শফিক রেহমান। সকাল ৭টায় টার্কিস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে টিকিট কাটা ছিলো তার।
শফিক রেহমান একজন সহযোগী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ধরার কথা ছিল শফিক রেহমানের। লন্ডনে চিকিৎসাধীন স্ত্রী তালেয়া রেহমানের পাশে থাকতে যুক্তরাজ্যে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ইমিগ্রেশন পুলিশ ফিরিয়ে দেওয়া তিনি ইস্কাটনের বাসায় ফিরে যান।বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, শফিক রেহমান সাহেব বোর্ডিং পাস নিয়ে উড়োজাহাজে যাওয়ার পথে তাকে ইমিগ্রেশন পুলিশের সদস্যরা বলেন, তার যাওয়ার নির্দেশনা নেই।
আদালতের প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখালেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি অভিযোগ করে শায়রুল বলেন, উনার স্ত্রী তালেয়া রেহমান গত ২২ জানুয়ারি লন্ডনে গেছেন চিকিৎসা নিতে। তিনি খুবই অসুস্থ। তাকে দেখতে এবং নিজের চিকিৎসার জন্যই লন্ডন যাচ্ছিলেন শফিক রেহমান।যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে কেন যেতে দেওয়া হয়নি জানতে চাইলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভোরের দিকে উনি এসেছিলেন। কিন্তু উনার মূল কাগজপত্র আমাদের হাতে না আসায় সমস্যা হচ্ছিল। সব কাগজ ঠিকমত পেলে হয়তো পরে তিনি রওনা হতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণের লক্ষ্যে তার সম্পর্কে তথ্য পেতে এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ায় দেশটির আদালতে গত বছর প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলের কারাদন্ড হয়। সেই রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় করা এক মামলায় গতবছর ১৬ এপ্রিল যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাঁচ মাস জেলে কাটানোর পর আপিল বিভাগের জামিনে গত ৬ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
