ওবায়দুল কাদেরনির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটি আওয়ামী লীগ মেনে নেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির প্রতি আমাদের আস্থা, বিশ্বাস ও সম্মান আছে। তিনি যা যথার্থ ও সঠিক মনে করবেন, সংবিধান অনুযায়ী যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটি আমাদের বিরুদ্ধে গেলেও আওয়ামী লীগ তা মেনে নেবে।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি সড়কের (আবদুস সামাদ আজাদ সড়ক) রানীগঞ্জ এলাকায় কুশিয়ারা নদীর ওপর ১২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন,আন্দোলনে-নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। তারা উন্নয়ন দেখে না। উন্নয়নের বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিস্ময়। এসব বিএনপির চোখে পড়ে না। তারা বলেছিল যে পদ্মা সেতু করতে পারব না। এখন ৪০ ভাগ কাজ হয়ে গেছে। এখন হয়তো বিএনপি বলবে এই সেতুর সিমেন্ট-রড ভালো না, এই সেতু ভেঙে পড়তে পারে।আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের পক্ষে আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাওয়া কঠিন হবে। যাদের মধ্যে খাই খাই ভাব আছে তাঁর এখনই তা বন্ধ করতে হবে।’ তিনি নেতাদের ক্ষমতার দাপট দেখাতে নিষেধ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘দেশ যেন নেতায় ভরে গেছে। মঞ্চে নেতাদের ভিড়ে দাঁড়ানো যায় না, কথা বলা যায় না। আমরা নেতা তৈরির কারখানা নয়, কর্মী তৈরির কারখানা চাই। সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনীই আওয়ামী লীগের সম্পদ।
মন্ত্রীর আগে বক্তব্য দেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী সাংসদ এম এ মান্নান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ। এ সময় সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ শামসুন্নাহার বেগম শাহানা, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ইমন, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশীদ, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আকমল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
