প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আলোচিত পটুয়াখালীর স্কুলশিক্ষার্থী শীর্ষেন্দুর স্বপ্নের সেতু পায়রা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেতু বিভাগ ইতিমধ্যে সেতুর এলাকা পায়রা কুঞ্জে তাদের সমীক্ষা শেষ করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় সেতু বিভাগের যুগ্ম সচিব আলীম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সমীক্ষা করা পায়রাকুঞ্জ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এতে ঐ এলাকার মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। এ সময় পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ মজুমদার উপিস্থিত ছিলেন।
সড়ক ও জনপথ সূত্রে আরো জানাযায়, সেতুটি হবে দুই লেনের। যার দৈর্ঘ্য মূল সেতু ১৩৭৫ মিটার (বক্স গার্ডার)। প্রস্থ ফুটপাতসহ ১০ দশমিক ৭৬ মিটার। ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স (নির্বিঘেœ নৌচলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চতা) ১৮ দশমিক ৩০ মিটার এবং হরাইজন্টাল ক্লিয়ারেন্স (দুই স্প্যানের মধ্যবর্তী স্থান) ৯০ মিটার।পরিদর্শন শেষে সাত সদস্য প্রতিনিধি দলের প্রধান, সেতু বিভাগের যুগ্ম সচিব আলীম উদ্দিন আহমেদে জানান, পায়রা বন্দর থেকে মংলা-খুলনা এলাকার যোগাযোগ তথা অত্র এলাকার সার্বিক উন্নয়নের বাস্তবরূপ দিতে এবং সর্বপরি এ এলাকার মানুষের যোগযোগের জন্য ব্রীজ নির্মান করা খুবই জরুরী। ব্রীজটি নির্মাণের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করনীয় তা করে এখন অর্থায়নে বিদেশি সাহায্যের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তবে বাংলাদেশ-চায়না যে প্রকল্প আছে, ঐ প্রকল্পে আওতায় ব্রীজটি আনা গেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্রীজের কাজ করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস পায়রা নদীতে ব্রীজ চেয়ে গত ১৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী বরাবরে চিঠি পাঠায়। ব্রীজ করার আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শীর্ষেন্দুকে ২০ সেপ্টেম্বর চিঠির জবাব দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ পটুয়াখালীর পায়রা নদীতে ব্রীজের স্থান পরিদর্শনে আসে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ, সেতু বিভাগের যুগ্ম সচিব মোঃ সামসুজ্জামান, সেতু বিভাগের উপ-সচিব মোঃ রেজাউল হায়দার, সেতু বিভাগের উপ-সচিব মোঃ জাকির হোসেন, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবুল হোসেন।
