গাজীপুরে ৮মাসের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশুকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাংলাবাজার এলাকার জিএম ফেব্রিক্সের কর্মী ভিক্টিমের বাবা মাসুদ মিয়া জানান, স্থানীয় বাংলাবাজার গজারিয়াচালা এলাকায় মিজানের বাড়িতে প্রায় পাঁচ মাস ধরে স্ত্রী-কণ্যা পরিজন নিয়ে ভাড়া থাকেন তিনি। ওই শিশু তাদের একমাত্র সন্তান। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানা এলাকায়। বুধবার সকালে শিশুটিকে (৮মাস) তার ফুপুর (খালেদা বেগম) কাছে রেখে রান্না করতে যান মাসুদের স্ত্রী (শিশুর মা)। ফুপু আবার পাশের বাড়ির সেলিম মিয়ার (৪০) স্ত্রীর কাছে শিশুটি রেখে তার ঘরের ফ্যান বন্ধ করতে যান। এরপর সেলিমের স্ত্রী শিশুটিকে তার ঘরে রেখে বাইরে কাজে যান। এ সুযোগে সেলিম ওই শিশুটিকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এসময় শিশু চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলে তার মা ও আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে সেলিম ঘর থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়। তারা শিশুটির গোপনাঙ্গ (যৌনাঙ্গ) থেকে রক্ত ঝরতে দেখে তাকে উদ্ধার করে স্বজনরা ওইদিনই শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুস সালাম সরকার জানান, শিশুটির যৌনাঙ্গে ধর্ষনের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে।
ভিক্টিমের বাবা আরো জানান, এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তা বিশ্বাস করেনি এবং বিষয়টি আমলেও নেয়নি। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়দেবপুর থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে আবাসিক চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে শিশুটির ধর্ষনের খবরের সত্যতা পায়।
এব্যাপারে জয়দেবপুর থানার এসআই মো. সুজায়েত হোসেন ধর্ষন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ওই শিশুর বাবা ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার এ ঘটনা পুলিশকে জানিয়েছে। এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পুলিশ ধর্ষককে গ্রেপ্তারের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। শিশুর মায়ের বাড়ি ময়মনসিংহ কোতোয়লি থানায়।
মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর।
