পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম ওরফে মিতু আক্তার হত্যা মামলায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরা হল এহতেশামুল হক ভোলা ও মনির। সোমবার (২৭ জুন) রাতে তাদের নগরীর বাকলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া দুজনই কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিল এবং তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দৈনিকবার্তাকে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারি কমিশনার (দক্ষিণ) মো.কামরুজ্জামান।এর আগে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া ওয়াসিম ওরফে মোতালেব ও আনোয়ার নামে আরও দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। রোববার দুজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে মিতু হত্যায় তাদের দায় স্বীকার করেছে। গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোডে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নিজে বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই সিএমপির গোয়েন্দা ইউনিটের সঙ্গে তদন্তে নামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এবং কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। আইজির নির্দেশে ঘটনা তদন্তে পাঁচটি সমন্বিত টিমও গঠন করা হয়। রোববার ওয়াসিম ও আনোয়ারকে গ্রেফতারের আগে শুক্রবার রাতে বাবুল আক্তারকে রাজধানীতে তার শ্বশুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে টানা ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। মামলার বাদিকে আসামির মতো তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করায় হত্যাকাণ্ডের কারণ নিয়ে দেশজুড়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। গত দুই দিনে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা বাবুল আক্তার নিজেই ছিলেন, এমন ইঙ্গিত কিংবা সন্দেহ প্রকাশ করে খবর প্রকাশ করেছে দেশের নানা সংবাদমাধ্যম। ঘটনার মোটিভ কি তা জানতে, জবানবন্দিতে উল্লেখিত মুছাকে পেতে হবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ।
