দেশে গণতন্ত্র না থাকাই জঙ্গিবাদ উত্থানের অন্যতম কারণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। বিচার বিভাগ, প্রশাসন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতাও নেই। সে কারণে আজকে রাজনীতিতে একটি শূন্যতা বিরাজ করছে। যারা এক্সট্রিম চিন্তা করছে, তারাই এর সুযোগ নিচ্ছে। উগ্রবাদের সৃষ্টি হচ্ছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ দাবি করেন, তাদের দল বিএনপি জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদকে সব সময় ঘৃণা করে। তাদের অবস্থান সব সময় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। এ অবস্থান অতীতেও ছিলো, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বিশ্বখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে বিএনপি এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ অনুষ্ঠানে আরও বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের অন্যতম কারণ হচ্ছে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি।দেশে আজ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নেই দাবি করে তিনি বলেন, এখন দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। বিচার বিভাগ, প্রশাসন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতাও নেই। সে কারণে আজকে রাজনীতিতে একটি শূন্যতা বিরাজ করছে। যারা এক্সট্রিম চিন্তা করছে, তারাই এর সুযোগ নিচ্ছে। উগ্রবাদের সৃষ্টি হচ্ছে।
সাবেক এই আইন মন্ত্রী সরকারি দলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘অবিলম্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠন করে বিদ্যমান শূন্যতা পূরণ করার চেষ্টা করুন। এই উদ্যোগে আমরা সব সময় আপনাদের পাশে থাকব।বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে এখন সহিংসতা ও উগ্রবাদ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে যাচ্ছে। দেশব্যাপী একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটছে। তারা বিএনপিকে দোষারোপ করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চায়। দর্জি দোকানী বিশ্বজিৎ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত অসংখ্য হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে।তিনি বলেন, সরকারী দল জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন। কিন্তু বিএনপিকে বাদ দিয়ে কিভাবে জাতীয় ঐক্য হবে?ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, সত্যিকার অর্থে জাতীয় ঐক্যে বিশ্বাসী হলে- সকল রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন অর্থাৎ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে একটি ঐক্যমঞ্চ তথা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন। তাহলেই আমরা বিশ্বাস করব, আপনারা সত্যিকার অর্থে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের অবসান চান। তখন আমরা আপনাদের সঙ্গে শুধু একমতই হবো না, জঙ্গিবাদ দমনে আমরা আপনাদেরকে সহযোগিতা করব। তিনি বলেন, দেশে সহিংসতা ও উগ্রবাদ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে যাচ্ছে। দেশব্যাপী একের পর এক হত্যাকা- ঘটছে। অথচ সরকার এখন পর্যন্ত একটি হত্যাকা-ের বিচারও শুরু করতে পারেনি। তারা বিএনপিকে দোষারোপ করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চায়।
মওদুদ আহমদ বলেন, দেশে সহিংসতা ও উগ্রবাদ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে যাচ্ছে। দেশব্যাপী একের পর এক হত্যাকা- ঘটছে। অথচ সরকার প্রকৃত অপরাধীদের ধরছে না। তারা বিএনপিকে দোষারোপ করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চায়। দর্জি দোকানী বিশ্বজিৎ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত অসংখ্য হত্যাকা- সংঘঠিত হয়েছে। কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত একটি হত্যাকা-ের বিচারও শুরু করতে পারেনি। এটা তাদের চরম ব্যর্থতা।সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনো ঘটনা ঘটলেই বিএনপিকে দোষারোপ করা হয়। কিন্তু কেন? ব্লেইম গেম বন্ধ করুন। সরকার, বিরোধী দল ও দেশবাসীসহ সকলের জন্য এটি একটি জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোনোভাবেই হোক, এটি বন্ধ করতে হবে।তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন। বিএনপিকে বাদ দিয়ে কিভাবে জাতীয় ঐক্য হবে?প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে জাতীয় ঐক্যে বিশ্বাসী হলে- সকল রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন অর্থাৎ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে একটি ঐক্যমঞ্চ তথা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন। তাহলেই আমরা বিশ্বাস করব, আপনারা সত্যিকার অর্থে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের অবসান চান। তখন আমরা আপনাদের সঙ্গে শুধু একমতই হবো না, জঙ্গিবাদ দমনে আমরা আপনাদেরকে সহযোগিতা করব।ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে মওদুদ বলেন, অবিলম্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠন করে বিদ্যমান শূন্যতা পূরণ করার চেষ্টা করুন। এই উদ্যোগে আমরা সব সময় আপনাদের পাশে থাকব।বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ক্রীড়া সম্পাদক কর্নেল (অব.) আব্দুল লতিফ, বক্সার গিয়াস উদ্দিন, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক প্রমুখ।
