ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের বিবেক ও লজ্জাবোধ বলতে কিছু নেই। লজ্জা ও বিবেকবোধ থাকলে একটি দিনের জন্যও তিনি এই পদে বহাল থাকতেন না।মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া পরিষদের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ জিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমাজউদ্দীন এসব কথা বলেন।নির্বাচন কমিশনারদের কঠোর সমালোচনা করে এমাজউদ্দীন বলেন,আমরা বিভিন্নভাবে লক্ষ করেছি আল্লাহ তাআলা এদেরকে লজ্জা বোধ বলতে কিছুই দেয়নি। একটু লজ্জা ও বিবেক বোধ থাকলে নিজেরা পদত্যাগ করে যোগ্য লোকদের কাছে তাদের দায়িত্ব হস্তান্তর করতো। আল্লাহ এদেরকে শুভ বুদ্ধি দিক।
এমাজউদ্দীন বলেন, নির্বাচন ঘিরে এত মানুষ মারা গেল। কিন্তু ইসি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আশা করি, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা পদত্যাগ করে অন্যদের ওপর দায়িত্ব দেবে। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় আজ হোক কাল হোক এ বিষয়ে মামলা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে এমাজউদ্দীন বলেন,৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির আন্দোলনের সময় যত লোক মৃত্যুবরণ করেছিল তার চেয়ে কোনো অংশে কম লোক এই নির্বাচনী সহিংসতায় মৃত্যুবরণ করেনি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় কারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী সঠিকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে না। আজ হোক কাল হোক যারা এই সহিংসতা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির প্রসঙ্গে তিনি বলেন,শুধু পদত্যাগের মাধ্যমেই গভর্ণরের পাপ মোচন হয়নি। এই স্থান থেকে পৃথিবীর আর কোনো দেশে টাকা চুরি হয়নি। তার (আতিউর রহমান) দায়িত্ববোধ থাকলে তিনি সঠিক কথা বলে পদত্যাগ করতেন। যারাই জড়িত থাকুক না কেন আল্লাহ তাদেরকে মাফ করবেন না।
জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবির মুরাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. এমতাজ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সংগঠনের সহকারী মহাসচিব আব্দুল্লাহহিল মাসুদ প্রমুখ।
