কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছেন। বিজিবির দাবি, নিহত রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। আজ রোববার ভোর রাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরাসংলগ্ন নাফ নদীর শেকলঘেরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রোহিঙ্গার নাম মোহাম্মদ আইয়াছ (২৫)। তিনি উখিয়ার কুতুপালং ২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৪ ব্লকের মো. জামাল হোসেনের ছেলে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, রোববার ভোর রাতে শেকলঘেরা এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান আসার খবর পায় বিজিবি। এরপর বিজিবির একটি দল সেখানে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে মিয়ানমারের লালদ্বীপ থেকে একটি নৌকায় কয়েকজন লোককে আসতে দেখে বিজিবির সদস্যরা। এ সময় তারা থামার জন্য নির্দেশ দেন। এতে নৌকায় থাকা লোকজন বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। বিজিবির সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। এতে নৌকায় থাকা তিনজন ঝাপ দিয়ে শুন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়।
পরে নৌকায় একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে বিজিবি। এ সময় নৌকাটি তল্লাশি করে ২ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় বন্দুক, একটি গুলি ও একটি গুলির খালি খোসাও জব্দ করা হয়। গোলাগুলির ঘটনায় বিজিবির ৩ সদস্য আহত হয়েছেন। বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।
