রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সেখপাড়া গ্রামের একসময়ের হেরোইন ও ইয়াবা ব্যবসায়ী নামে চিহৃত সে এখন রাজশাহীর হলুদ সাংবাদিক। সে বর্তামানে রাজশাহীর দৈনিক সোনালি সংবাদ পত্রিকায় কাজ করার সুযোগে মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তি মূলক সংবাদ দিয়ে সাংবাদিকতা জগত কে কলঙ্কিত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে গোদাগাড়ী উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের আলিম উদ্দিনের ছেলে রিমন রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলার এক মাছ ব্যবসায়ীর ছেলে রিমন রহমান। র্দীঘদিন যাবত গ্রামের এলাকায় সে মাদক আসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী নামে চিহৃত। এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীর পাসাপাসি সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও চাঁদাবাজি করতো।
বেশ কিছু দিন আগে, মাদকসহ ভূয়া সাংবাদিক হিসাবে রিমন রহমান গ্রেপ্তার হয় বিজিবির হাতে। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ পত্রে গোদাগাড়ীতে মাদকসহ ভুয়া সাংবাদিক গ্রেপ্তার শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।
সংবাদ পত্রে ওই প্রতিবেদনে লিখা হয়, রাজশাহীর গোদাগাড়ীততে ৫০ গ্রাম হেরোইন ও ১৬ পিচ ইয়াবাসহ রিমন রহমান নামে এক ভুয়া সাংবাদিকে আটক করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্রী কলেজ মাঠ থেকে তাকে আটক করা হয়। সে উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের আলিমের ছেলে।
ওই সময় প্রতিবেদনে পুলিশ ও বিজিবির পক্ষ থেকে জানায়, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্রী কলেজ মাঠে মাদক বিক্রয় হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময় রিমন রহমান কে আটক করে তার দেহ তল্লাসি করে পলিথিনের প্যাকেটে মোড়ানো ৫০ গ্রাম হেরোইন ও অন্য পলেথিনে মোড়ানো ১৬ পিচ ইয়াবা জব্দ করে। পরে বিজিবি রিমন রহমান কে গোদাগাড়ী থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় বিজিবির ল্যান্স নায়েক আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় মহিশালবাড়ি গ্রামের গিয়াস উদ্দিন ওরফে বাগচির ছেলে রিমনের ব্যবসায়ী পার্টনার সাইফুল ইসলাম কে পলাতক আসামী করা হয়।
ওই সময় গোদাগাড়ী থানার ওসি এসএম আবু ফরহাদ রিমন দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ও সে মাদক আসক্ত বলে বক্তব্য দেন সাংবাদিকদের। সেই ঘটনার পর থেকে রিমন রহমান এলাকা ছেড়ে রাজশাহী নগরীতে অবস্থান করে। রাজশাহী নগরীতে থেকে সে ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে। এলাকার মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ তাই এখন পর্যন্ত তার গ্রামে যেতে পারে না রিমন রহমান।
আরো জানা গেছে, রিমন রহমান রাজশাহীতে এসে বিভিন্ন মাদক স্পর্ট থেকে চাঁদাবাদি করে। নগরীর গুড়িপাড়া এলাকার নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক মাদক ব্যবসায়ী জানান, প্রায় মাদক সেবন করার জন্য রিমন আসতো। কিছু দিন আগে তাকে মাদক না দেয়ার কারনে দৈনিক সোনালি সংবাদ পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করারও হুমকি দেয়। এভাবে মাদক ব্যবসায়ী থেকে রাজশাহীতে তার হলুদ সাংবাদিকতা ব্যপরোয়া হয়ে উঠে। সে অর্থের বিনিময় ঢাকার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রতিনিধি হয়ে যায়। এমন একজন মাদক ব্যবসায়ী রাজশাহীর সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার পত্রিকায় কাজ করার সুযোগ পায় কেমনে। বিষটি সংসদ সদস্য কে ইতি মধ্যে অবহিত করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক দৈনিক সোনালি সংবাদ পত্রিকায় রাজশাহীর আওয়ামী লীগ নেতাদের সম্পর্কে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে চড়ম ক্ষুব্ধ মাহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা। মাদক ব্যবসায়ী থেকে সাংবাদিক জগতে প্রবেশ করে রাজশাহীর সাংবাদিক সমাজ কে কলঙ্কিত করছে বলে অভিযোগ করেন স্থানিয় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা। সংসদ সদস্য বাদশার সাথে সাম্প্রতিক আওয়ামীলীগ নেতাদের দন্ড চলছে। এটা কে কেন্দ্র করে এমপি বাদশার পত্রিকায় আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে সুনাম নষ্ট করছে। এমন হলুদ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা নেয়ার এমপি বাদশাকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মোঃ আহাফুজুর রহমান আরিফ
