পাবনায় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় জেনারেল হাসপাতালে ১৫ জন ভর্তি হয়েছে । চিকিৎসাধীন রয়েছে আরো ৪০ জন। প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে নতুন নতুন আক্রান্ত রোগী। এদিকে পাবনার এই সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত কিডস সরবরাহ না থাকায় বেসরকারী হাসপাতাল ও ডায়গোনস্টিক সেন্টারগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ভীড় করলেও সেখানে মিলছে না পর্যাপ্ত কিডস। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ পাবনাতে এডিস মশা বা ডেঙ্গু জীবানু নেই এমন দাবী করলেও প্রতিদিনই হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে দেখা দিয়েছে আতংক আর সংশয়।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রঞ্জন কুমার দত্ত মঙ্গলবার দুপুরে জানান, সোমবার রাত পর্যন্ত হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ২৫ জন। গেল রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ১৫ জন। ৪০ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ডা. রঞ্জন বলেন, গত ২৬ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১১ জন। ভর্তিকৃত রোগীর মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে তিনি জানান।
নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে একাধিক চিকিৎসক জানান, পাবনায় ডেঙ্গু বাহী মশার অস্তিত্ব মেলেনি এমনটি দাবী করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে আসা রোগী এবং ট্রাভেলর মশার কারণে এ জেলায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হতে পারে বলে তারা দাবী করেন। পাবনা পৌরসভার মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু বলেন, পৌরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আগামিকাল বুধবার র্যালি করা হবে। পরে প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে ময়লা আবর্জনা অপসারণসহ মশা জন্মস্থানগুলো ধবংসও করা হবে। পাবনার সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল বলেন, ডেঙ্গুর শুরু থেকেই সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কীটতত্ববীদ হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। মঙ্গলবার পর্যন্তও পাবনার কোথায়ও কোন ডেঙ্গু বা এডিস মশার অস্তিত্ব পায়নি এই টিম। এদিকে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবে পাবনাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রশাসনসহ নানা দপ্তরের সমন্বিত ভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যক্রম হাতে নেওয়ার কথা হলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত এই সমন্বিত কার্যক্রম চালু হয়নি।
