জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন। এর আগে গত রোববার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর আজকের দিন শুনানির দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। তার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের বেঞ্চ শুনানির এই দিন ধার্য করেন।
এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান,জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির আবেদন করেছেন তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই দণ্ড দেওয়া হয় তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ আরও তিনজনকে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর দেওয়া এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। পাশাপাশি জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
গত ৩০ এপ্রিল বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে মামলার নথি দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে প্রেরণের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত বলেন, নথি আসা সাপেক্ষে জামিন আবেদন শোনা হবে। দুই মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ২০ জুন নথি হাইকোর্টে আসে। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানির জন্য উত্থাপন করা হয়।
প্রসঙ্গত, দুটি দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান তিনি। পরবর্তীকালে হাইকোর্ট এই মামলায় তাঁর সাজা ৫ বছরের পরিবর্তে ১০ বছর করে দেয়। এই সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
