আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে জাতীয় দল ঢাকা ছাড়ার আগে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিসিবি প্রধান সমালোচনা উঠা জার্সি নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি জানান, আইসিসির অনুমতি নিয়ে জাতীয় দলের জার্সির রঙ পরিবর্তন করা হচ্ছে। তাতে, টাইগারদের জার্সিতে থাকা বুকে সাদা রঙে বাংলাদেশ লেখাটি লাল হবে।জার্সি নিয়ে পাপন জানান, জার্সি নিয়ে আমার কখনো কিছু বলার ছিল না। এটা আসলে নিয়ম মাফিক তৈরি হয়। আর সেটা করার জন্য আমাদের ওয়ার্কিং কমিটি আছে। এর আগে শেষ বিশ্বকাপেও তারা নিজেদের কাজটা করেছে। গতকাল জার্সি উন্মোচনের আগে আমি কিংবা জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি জার্সিটি দেখিনি। কমিটি নির্বাচন করে সেটি প্রথমে আইসিসিতে পাঠায়। তাদের আমি জিজ্ঞেস করেছি, তারা বলেছে, প্রথম যে জার্সিটা আইসিসির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল সেটিতে লাল ছিল। তার মানে সবুজের সঙ্গে লালের একটা মিশ্রন ছিল।
বিসিবি সভাপতি আরও জানান, আমরা লাল আর সবুজ মিলিয়েই আইসিসিকে জার্সি দিয়েছিলেন। সেখানে কোনো সাদা রঙ ছিল না। তারা আমাদের অলটারনেট জার্সি দিতে বলে। আমরা দুটোই পাঠাই। একটা লাল-সবুজ, আরেকটা লাল। পরে লাল-সবুজটা আইসিসি বাতিল করে দেয়। তারা বলে এমনটি হবে না। দেশের নামটা সাদা করার জন্য অনুরোধ করে তারা। পরে আমাদের কমিটি লাল সরিয়ে পাঠালে তারা গ্রিন সিগন্যাল দেয়।
গতকাল জার্সি দেখে প্রশ্ন ওঠে, পরে ডিরেক্টরদের রুমে গিয়ে আমি আলোচনা করেছি। একজন বললো জার্সিতে লাল নেই, আগেরটিতে লাল ছিল। আমরা আইসিসির বাধ্যবাধকতা আছে সেটা জানি। আইসিসির অনুমতি নিয়েই এখন জার্সি পরিবর্তন করা হচ্ছে। আমরা যেটা করেছি নতুন ডিজাইন চেয়েছি। আমাদের জার্সির পাশাপাশি ট্রাউজারে লাল ছিল (এ সময় তিনি নিজের মোবাইলে জার্সি এবং ট্রাউজারের ছবি দেখান)। আমাদের ডিজাইন পাঠিয়েছি, ওরা সাদাটা সরিয়ে দিয়েছে। আমি যেহেতু আর নতুন করে দেখিনি, তাই আগের ভুলটা হতে পারে।
তিনি আরও যোগ করেন, স্পোর্টস রিপোর্টারদের বলছি অন্যান্য দেশের জাতীয় পতাকার সাথে জার্সির তেমন কোনো মিল নেই। অস্ট্রেলিয়ানদের নেইৃ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে আমাদের লাল ছিল না, সবুজ আর হলুদের মিশ্রনে জার্সি তৈরি হয়েছিল। জাতীয় পতাকার সাথে জার্সির মিল থাকতে হবে এমনটা নয়। কিন্তু, এটা আমরাই শুরু করেছি। বরং অন্যরা আমাদের দেখেই শিখেছে। অপেক্ষা করুন আমাদের জার্সি পরিবর্তন হয়ে যাবে।বুধবার (১ মে) দেশ ছাড়বে টাইগাররা। ৫ মে থেকে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় সিরিজে টাইগারদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেখানে প্রত্যেক দল একে অপরের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। সেখান থেকে পয়েন্টে এগিয়ে থাকা দুই দল খেলবে সিরিজের ফাইনালে। ১৭ মে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের ফাইনাল।
৩০ মে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ। তার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে টাইগাররা। মূল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২ জুন। প্রথম প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ৫ জুন নিউজিল্যান্ড, ৮ জুন ইংল্যান্ড, ১১ জুন শ্রীলঙ্কা, ১৭ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০ জুন অস্ট্রেলিয়া, ২৪ জুন আফগানিস্তান, ২ জুলাই ভারত আর ৫ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা।
