পাবনা সদর উপজেলায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে বৃষ্টি খাতুন (১৮) নামের এক গৃহবধু খুন হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে মালিগাছা ইউনিয়নের ক্ষুদ্র মাটিয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বৃষ্টি খাতুন ওই গ্রামের জালাল বিশ্বাসের মেয়ে।
গ্রামবাসীরা জানান, প্রায় ৩ বছর আগে পাবনার নয়নামতি মহল্লার বাসিন্দা আলাই বিশ্বাসের ছেলে মোমিন হোসেন (২০) এর সাথে বৃষ্টির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বৃষ্টির উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল মোমিন। নির্যাতন অতিষ্ঠ হয়ে প্রায় বছর খানেক আগে ক্ষুদ্র মাটিয়াবাড়ি বাবার বাড়িতে চলে আসে বৃষ্টি খাতুন। মাঝে মধ্যে বৃষ্টিকে বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নানা প্রলোভন দেখায় মোমিন হোসেন। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য বৈঠকও হয়। কিন্তু তাতে কোন তাতে কোন সমাধান না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় মোমিন। এরই ধারাবহিকতায় শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি সাদা প্রাইভেট কারে চড়ে কয়েকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে বৃষ্টির বাড়িতে যায় মোমিন। এ সময় বৃষ্টিকে একা পেয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সে।
তার চিৎকারে স্থানীয়রা আহত বৃষ্টিকে উদ্ধার করে দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্স করে ঢাকায় নেওয়ার পথে বেলা ৩টার দিকে মারা যায় বৃষ্টি। পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবাইদুল হক জানান, এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন গৃহবধু বৃষ্টির মৃত্যুর খবর আমরা শুনেছি। ঢাকায় নেয়ার পথে সে মারা গেছে। লাশ পাবনায় আসার পর আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
