দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় লালমনিরহাট জেলার চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ পাশ করেনি। এনিয়ে হতাশ হয়ে পরেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকগন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো হলো- আদিতমারী উপজেলা নামুড়ি হাইস্কুল এন্ড কলেজ, কুমড়িহাট এসসি স্কুল এন্ড কলেজ, মহিষাশ্বর স্কুল এন্ড কলেজসহ পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ উপজেলার বারাজান নয়া কলেজ।
রোববার সন্ধ্যার দিকে ঐসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ কলেজ থেকে কেউ পাশ করেনি বলে স্বীকার করেছেন। আর এ ব্যাপারে কোন প্রকার তথ্য দিতে পারেনি লালমনিরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু আশরাফ নূর। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে পাওয়া তথ্য মতে, লালমনিরহাটের চারটি প্রতিষ্ঠানের কেউ পাশ করেনি বিষয়টি নিশ্চিত হতে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের অনেককেই।
এমনকি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কেউ কেউ বাইরে আছি বলে অজুহাত দেখিয়ে ফোন কল কেটে দেন। আদিতমারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি প্রথমে তা কেটে দেন। পরে আদিতমারী উপজেলার নামুড়ি হাইস্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক কাজি আব্দুস ছাত্তারের যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তিন জন পরীক্ষা দিয়েছিল। তাদের কেউ পাশ করেছে কিনা? জানি না। এক প্রশ্নে জবাবে বলেন, আমাদের অফিস সহকারী বাইরে তাই জানি না।
আর কুমড়িরহাট এসসি স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম বলেন, চারজন এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে আশা নামে এক শিক্ষার্থী বিগত বছরই পাশ করেছে। তবে এবছর ইনপ্রুপ দিয়েও পাশ করেননি বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
মহিষাশ্বর স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, আমাদের এখন থেকে তিন জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েও কেউ পাশ করেনি। এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফরোজা বেগম জানান, তার উপজেলায় বারাজান নয়া কলেজ থেকে কোন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে কিনা? বিষয়টি তার জানা নেই। তবে বিষয়টি জানতে ওই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মুঠোফোনে কল দিয়েও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
অপরদিকে কালীগঞ্জ উপজেলার বারাজান নয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোকলেছ তার প্রতিষ্ঠান থেকে তিনজন পরীক্ষা দিয়েও কেউ পাশ করেনি বলে কাছে স্বীকার করেছেন।
