শিবগঞ্জ উপজেলার দাড়িদহ গ্রামে শুক্রবার নিজের শিশু কন্যাকে কুপিয়ে খাদিজা বেগম(৩৫) নামে অন্তঃসত্বা এক মহিলা গলা কেটে আত্মহত্যা করেছে।গুরুতর আহত শিশু সোহানাকে(৫) বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠান হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার এটিএম হাসান তার পরিবার নিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দাহাটা ইউনিয়নের দাড়িদহ এলাকায় ভাড়া বাড়ি থাকতেন। হাসান একটি এনজি’র মাঠকর্মী। অফিসের কাজে সকালে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। বাড়িতে স্ত্রী খাদিজা , শিশু সোহানা এবং শ্বাশুড়ি আবেদা বেগম ছিলেন। সকাল ৮ টার দিকে খাদিজা তার মাকে পানি আনতে বলে ঘরের বাইরে পাঠিয়ে শিশু সোহানাকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করেন। এর পরপরেই খাদিজা তার শিশু কন্যাকে বটি দিয়ে কোপায় এবং একপর্যায়ে নিজের গলা কেটে ফেলে।
পরে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসে এবং ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফেলে গুরুতর আহত অবস্থায় শিশু সোহানাকে উদ্ধার করে। তবে ঘটনাস্থলেই গৃহবধু খাদিজা মারা যায়। শিশুটির মুখমন্ডল সহ কয়েকটি স্থানে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে(শজিমেক) ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রথম দফা অপারেশনের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠান হয় বলে শজিমেক চিকিৎসক জানিয়েছেন। শিবগঞ্জ থানার ওসি জানান,গৃহবধু খাদিজা অন্তসত্বা ছিলেন ও মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে পরিবারের লোকজন তাদের জানিয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান হয়েছে।