১৪ দলের ১৯জুন মানব বন্ধন সফল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিন শাখার যৌথ উদ্যোগে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে বিশেষ বর্ধিত সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন কেন হিন্দু ধর্মীয় সেবক, বৌদ্ধ, খিষ্ট্রান, মুসলিম, ইসলাম চিন্তাবিদ, লেখক, প্রকাশক, পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হত্যা, গ্রামীন হোমিও ডাক্তার, বিদেশী হত্যা, মুক্তমনা লেখক, প্রকাশক, ব্লগার, শিক্ষক, ইমাম, ধর্ম যাজক, পুরোহিত হত্যা কেন ?
ইদানিং গুম খুন বেড়ে গেল কেন ? মন্দিরের পুরোহিত, গির্র্জার যাজক-যারা ধর্মের কথা বলেন, যারা শান্তির কথা বলেন-বেছে বেছে তাদের হত্যা করা হচ্ছে-কেন? তারা তো রাজনীতি করেন না কোন উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে ? যারা এটা করছে তাদের উদ্দেশ্যে কি? অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানানো ? বেগম খালেদা জিয়া বলেছিল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মসজিদে উলুধ্বনি হবে আরও বলেছিল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে ভারতের কাছে বিক্রি করে দেবে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটাতে চাচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া। বেগম জিয়া প্রমান করতে চায় সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশে নিরাপদে নেই। মানুষের উপর মানুষের বিশ্বাস হারানোর কাজে হাত দিয়েছে বেগম খালেদা জিয়া। জঙ্গি বা আইএস এর উপর দোষ চাপিয়ে বিবৃতি দিলে হবে না। স্পষ্ট করতে হবে, সাধারণ মানুষের মনের আতঙ্ক দূর করতে হবে। জনগন এখন বাসার সামনে সিসি ক্যামেরা লাগাচ্ছে। সাধারণ মানুষ ভীত-এই ভীতির দুর করতে হলে শুধুমাত্র আইন শৃংখলা বাহিনীকে দোষারুপ করলে হবে না। আমরা যারা দল করি-আমাদের দায়িত্ব আছে। আমরা সংগঠন করি-সংগঠক আমাদের কাজ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দর্শ জনগনের ক্ষমতায়ন এর মাধ্যমে আদর্শিক চিন্তা চেতনায় কর্মীদের উদ্ভুদ্ধ করা জনমত সৃষ্টি করা সতস্য মিথ্যার প্রভেদ করা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এ সরকারের বড় সাফল্য।
গন-মাধ্যমের সাথে সু-সম্পর্ক স্থাপন করা। সত্যকে উদঘাটন করে সর্তক হয়ে সংবাদ প্রতিবেদন প্রচার করতে সহায়তা করা। ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল এর সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিন শাখার ভারপ্রাপ্ত রেজাউল করিম রেজার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ডঃ আহম্মেদ আল কবির, শহীদ সেরনিয়াবাত, ফারুক হোসেন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, আতাউর রহমান, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুর আলম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, আসাদুল হক আসাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিছুর রহমান, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, মিজানুল ইসলাম মিজু, মোহম্মদ ইসলাম, শাহাদাত হোসেন তসলিম, শ্যামল কুমার রায়, জাকিয়া সুলতানা শেফালী, জোবায়েদুল হক রাসেল, কেন্দ্রীয় নেতা রওশন জামির রানা, মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সহ সভাপতি জাফর ইকবাল, জহিরুল ইসলাম মানিক, মজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক হারুন অর রশীদ ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল উদ্দিন আহম্মেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, উপ দপ্তর সম্পাদক এ এইচ এম কামরুজ্জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিন শাখার মাইনুদ্দিন রানা, সোহরাব হোসেন স্বপন, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, হারুন অর রশিদ, নাজমুল হোসেন টুটুল, মোরসালিন আহম্মেদ, যুগ্ম সম্পাদক জাফর আহম্মেদ রানা, ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, মাকসুদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ প্রমূখ।
যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী আরো বলেন গনমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন গুলো ব্যাপক প্রচার করা। মানুষ খুন হবে আতঙ্কের মধ্যে থাকবে কোন দেশ প্রেমিক এটা মেনে নিতে পারে না। তাই আমাদের নীরব থাকলে হবে না। যত দ্রুত সম্ভব এ বিষেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দোষারূপ নয়। আসুন সর্বস্তরের মানুষকে সহায়তা করি-সচেতন করি-সজাগ করি-জনমত সৃষ্টি করি। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যে ভাবে আগুন সন্ত্রাসীদের রোধ করতে পেরেছে তেমনি গুম, হত্যা বন্ধ করার কাজে হাত বাড়িয়ে দিয়ে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জনগনের ক্ষমতায়ন বাস্তবায়ন করার অঙ্গিকার করি। এই গুপ্ত হত্যা সরলভাবে দেখলে হবে না। এখানে গভীর অনেক বিষয় রয়েছে। এই হত্যাকান্ড গুলো আসলে করানো হচ্ছে। অর্থ বিনিয়োগ হচ্ছে। কারা করছে ? কার স্বার্থে? এর উত্তর সবারই জানা। আসুন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা, গুপ্তহত্যা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রুখে দাড়াই। ইনশাল্লাহ গুপ্ত হত্যা অচিরেই বন্ধ হবে।
জঙ্গিদের পেছনে কারা, মফস্বলের খুনী ঢাকায়, ঢাকার খুনি মফস্বলে, মাদারীপুরের কলেজ শিক্ষক হত্যার চেষ্টা চালাতে গিয়ে শিক্ষকের চিৎকারে লোকজন এলে ঘাতকের একজন ধরা পড়েছে-আটক ঘাতক একজন শিবিরকর্মী, ঢাকা থেকে মাদারীপুরে গিয়েছিল কিলিং মিশন বাস্তবায়ন করতে। বাংলাদেশের অসম্প্রদায়িক ভাবমূতি এ-জাতির মুল্যবান উপাদান। সে ভাবমূর্তিকে ধ্বংস করতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে নমনীয় হওয়ার কোন সুযোগ না।
বিশেষ বর্ধিত সভার পুর্বে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চের সম্মুখে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বৃক্ষরোপন অভিযানের অংশ হিসেবে যুবলীগ কর্মীদের মাঝে ফলজও বনজ বিভিন্ন প্রজাতির চারা বিতরন করেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ, যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিন শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল, ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট, ইসমাইল হোসেন, রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
