তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নে দেশে যেসব হাই-টেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে সেগুলোর বাস্তবায়নে প্রাকৃতিক পরিবেশের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বুধবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অফ গভর্নরসের সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করে আইসিটি পার্কগুলো গড়ে তুলতে হবে।সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ,শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চন্নু, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতীয় বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ এ সামাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও উপস্থিত ছিলেন।২০২১ সালে আইটি সেক্টরে দশ লাখ লোকের কর্মসংস্থান এবং এ সেক্টর থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, হাই-টেক পার্কগুলো স্থাপন হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।এ সময় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কালিয়াকৈরে ৩৫৫ একর জমির ওপর হাই- টেক পার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি উল্লেখ করেন।সভায় কালিয়াকৈর হাই- টেক পার্কসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হাই-টেক পার্ক স্থাপনে কাজের অগ্রগতি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়।সভায় জানানো হয়, ঢাকায় জনতা টাওয়ার সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক ও মহাখালী আইটি ভিলেজ, যশোরে সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক, সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি এবং রাজশাহীতে বরেন্দ্র সিলিকন সিটি স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে।এছাড়া, গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকার কেরাণীগঞ্জ, জামালপুর এবং নাটোরে আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সভায় অবহিত করা হয়।১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তিনশ ৫৫ একর জমিতে হাই-টেক পার্ক করার সিদ্ধান্ত হয়,যার কাজ এখন অনেক দূর এগিয়েছে।
এছাড়া যশোরে সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক, ঢাকায় জনতা টাওয়ার সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক ও মহাখালী আইটি ভিলেজ, সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি এবং রাজশাহীতে বরেন্দ্র সিলিকন সিটি স্থাপনের কাজও এগিয়ে চলছে।গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, জামালপুর এবং নাটোরেও আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠার কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।হাই- টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অফ গভর্নরসের প্রথম বৈঠক হয় এদিন। প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান,কালিয়াকৈরের হাই-টেক পার্কটি সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এজন্য সামিট টেকনোপলিস লিমিটেডের সঙ্গে ২০১৫ সালের ২৮ জুন ২৩৪ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে সরকার।৩৫৫ একর আয়তনের কালিয়াকৈরের এই পার্কের ২৩২ একরকে পাঁচটি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। গত বছর ১৫ অক্টোবর এই পার্কের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।হাই-টেক পার্কগুলো গড়ে তোলা হলে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,এই পার্কগুলোতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হবে এবং রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।হাই-টেক পার্কগুলোতে যে সব পণ্য উৎপাদন হবে সেগুলোর চাহিদা দেশেও রয়েছে বলে জানান তিনি। দেশের হাই-টেক পার্কগুলোতে প্রায় দশ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং এ খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
